ইয়াছির আরাফাত খোকন, প্যারিস, ফ্রান্স:

বাংলাদেশ মিশনের উদ্যোগে বাংলাদেশের সাথে মিল রেখে সশস্ত্র বাহিনী দিবস প্যারিসে ২১ নভেম্বর টাউন হলে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত খন্দকার এম তালহা এবং পরিচালনা করেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মিজানুর রহমান।

অনুষ্ঠানের শুরুতে বাংলাদেশ এবং ফ্রান্স উভয় দেশের জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে কার্যক্রম শুরু হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন ফ্রান্সের প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ ফ্রান্সে নিযুক্ত বন্ধুপ্রতিম বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও প্রতিরক্ষা বিষয়ক কর্মকর্তারা, ফ্রান্সের সামরিক সরঞ্জাম প্রস্তুতকারী বিভিন্ন কোম্পানির উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এবং প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ। এছাড়া বাংলাদেশি বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও ব্যবসায়িক নেতৃবৃন্দ এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরাও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

রাষ্ট্রদূত খন্দকার এম তালহা এবং প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মিজানুর রহমান এনডিসি আমন্ত্রিত অতিথিদের আন্তরিক অভ্যর্থনা জানান।

রাষ্ট্রদূত ও প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা তাদের বক্তব্যে তৎকালীন সময়ে সশস্ত্র বাহিনী গঠনের প্রয়োজনীয়তা ও প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন। দেশমাতৃকার সেবায় সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের আত্মত্যাগের কথা গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন। মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে গড়ে ওঠা বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী জাতির অহংকার। ১৯৭১ সালের ২১ নভেম্বর সেনা, নৌ এবং বিমানবাহিনীসহ সম্মিলিত বাহিনীর সমন্বয়ে সশস্ত্র বাহিনী গঠন করা হয়। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান ও বীরত্বগাথা জাতি আজও গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে।

বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে দেশের ভাবমূর্তি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উজ্জ্বল করেছে। দেশের ক্রান্তিলগ্নে সশস্ত্র বাহিনী জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে। ছাত্র-শ্রমিক-জনতার গণঅভ্যুত্থান, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা, শিল্পকারখানায় নিরাপত্তা প্রদান এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাসহ বিভিন্ন কার্যক্রমে বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী জনগণের আস্থা অর্জন করেছে।